জীবনের যান্ত্রিকতা ফাঁদে পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিক লয়, তাল, ছন্দ। যান্ত্রিক জীবনযাপনে আমরাও আমাদের ভিতরের যে ছন্দ তা হারিয়ে ফেলছি। অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে প্রতিনিয়ত সব কাজে ঘটছে ছন্দপতন। বাণিজ্যিক পণ্যের বিজ্ঞাপনে ভরে যাচ্ছে বিকৃত মানসিকতা। যন্ত্র এমন ভাবে আমাদের গ্রাস করছে যে মুঠোফোনটাই হয়ে উঠছে আমাদের জীবন। এই যন্ত্রদানবের হাত থেকে আমাদের শিকল কেটে বেরিয়ে আসার পথ দেখাতে চাইছে ঠাকুরপুকুরের একটি পুজোমণ্ডপ। ৬৯ তম বর্ষে তাদের থিম ‘ছন্দ আসুক ফিরে’। যন্ত্রনির্ভরতা কমিয়ে খোলা হাওয়ায় মুক্তির স্বাদ এনে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য। শিল্পী সুপম অধিকারীর হাতে রূপ পাচ্ছে তাদের এই থিম।
একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে আজকাল পাশাপাশি বসেও দু’বন্ধু কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র কবিতার ছন্দ। তাই মণ্ডপ গড়তে বঙ্কিমচন্দ্র থেকে শুরু করে জয় গোস্বামী পর্যন্ত কবিদের কবিতার উপরে নির্ভর ভরসা রেখেছেন উদোক্তারা। গোটা মণ্ডপ জুড়ে থাকবে বিভিন্ন কবিতার ছেঁড়া ছেঁড়া অংশ। মুঠোফোন কিছুক্ষণ হলেও থাকবে আপনার পকেটে। মন জুড়ে বাস করবে কবিতার ছন্দ।
Durga Pujo 2018: দুর্গা পুজোয় তানিষ্কের উপহার 'অপরূপা' কালেকশন!
পুজোয় অপরূপা হতে মেনে চলুন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পলের এই টিপসগুলি
যন্ত্র ভুলে ছন্দে মাতুন, বার্তা দিচ্ছে পুজোমণ্ডপ
পুজোর গান নিয়ে ইউটিউবে হাজির এক ঝাঁক নবীন প্রতিভা
২০০১ সালে পরিচালক স্টিফেন স্পিলবার্গ ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। গল্পে একটি যন্ত্রবালককে দত্তক নেয় একটি পরিবার। যন্ত্রবালকের মাথা সফটওয়ারে গঠিত। সে বুদ্ধিদীপ্ত এবং ইমোশনাল হয়ে ওই পরিবারের মানুষ মা কে নিজের মা হিসাবে পেতে চেয়েছিল। কিন্তু মা ততদিনে যান্ত্রিক জীবনে অভ্যস্ত তাই উল্টে তিনিই শেষে ওই রোবট বালককে ত্যাগ করে আসেন। সেই মায়ের মতোই আমরাও প্রতি দিন নিজেদের অজান্তে এগিয়ে যাচ্ছি রোবট হওয়ার দিকে। আর তা যাতে না হয় সেই পথই দেখাচ্ছে ঠাকুরপুকুর ক্লাব। আমরাও না হয় সেই পথে হেঁটে একটু সচেতন হই। মায়ের কাছে প্রার্থনা থাক, যন্ত্র নয় মানুষ গড়ি আমরা।
মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিয়ে পথশিশুদের ‘ইচ্ছেপূরণ’
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।