কুমারীকে দেবীরূপে পুজো করার চল অনেক দিনের। অষ্টমীর আকর্ষণ এই কুমারী পুজো। আর বেলুড় মঠ মানেই কুমারী পুজো। দেশ বিদেশের বহু মানুষ প্রতিবার ছুটে আসেন এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে। অন্যথা হল না এবারও। এবার তিথি অনুসারে অষ্টমীর পুজো কিছুটা এগিয়ে পড়েছে। আর কুমারী পুজোও হয়েছে সকালের দিকেই। রীতি মেনে কুমারী পুজো হয়েছে বেলুড় মঠেও। শক্তির আধার নারীকে আরাধনা করাই এই পুজোর উদ্দেশ। সেই 1901 সালে বেলুড় মঠে স্বামী বিবেকানন্দের হাত দিয়ে শুরু হয় কুমারী পুজো। তখন থেকে একই ভাবে চলে আসছে এই প্রথা। ভোর থাকতে থাকতে গঙ্গা স্নান সেরে পুজোর জন্য প্রস্তুত হয় কুমারী। পরে শুরু হয় পুজো।
বাঙালি নাকি পরম্পরার পরোয়া করে না, নিজেদের অতীত ভুলে যেতে তাদের জুড়ি মেলা ভার- এমন অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কিন্তু কুমারী পুজোর মতো বিষয় বার বার বলে যায় বাংলা ও বাঙালির অতীত গৌরবের কথা। অষ্টমীতে আরও একটা মনে রাখার মতো রীতি পালিত হয় বিভিন্ন জায়গায়। সেটি হল বীরাষ্টমী। সাবেকিয়ানার উপর ভিত্তি করে একশো পার করা বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোর অন্যতম বৈশিষ্টই হল এই বীরাষ্টমী। লাঠি খেলা থেকে শুরু করে নানা রকমের শারীরিক কসরত করার মাধ্যমে নিজের মধ্যে থাকা শক্তিকে জাগিয়ে তোলার শিক্ষা দেয় বীরাষ্টমী।
এদিকে দুপুরেই পড়ে গিয়েছে নবমী তিথি। তার মানে বাপের বাড়িতে উমার থাকার সময় শেষ হয়ে এলো। ছেলে মেয়ে নিয়ে আবার কৈলাশের পথ ধরবেন দুর্গতিনাশিনি। মানে এই ক’দিন আনন্দে মেতে থাকার দিনও শেষ হল বলে। তবে সেই ভাবনা সরিয়ে রেখে পুজোর বাকি সময়টুকু মেতে উঠতে তৈরি বাঙালি।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।