গত বছর আগে পদ্মাবত ছবি মুক্তির সময় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। তখন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বাংলায় ছবি মুক্তি ঘিরে কোনও অশান্তি হবে না। আর হয়েওছিল তাই । এবার পুজোয় কলকাতার দুই প্রান্তের মণ্ডপে তুলে ধরা হল সেই চিতরগড়ের কেল্লা। একদিকে পূর্ব কলকাতার শ্রীভূমি এবং মধ্য কলকাতার মহম্মদ আলি পার্কের পুজো মণ্ডপ এখন যেন এক টুকরো রাজস্থান। কিন্তু এতকিছু থাক এই চিতরগড়ের কেল্লা কেন? শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের কর্তা তথা তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু জানালেন পদ্মাবত মুক্তির সময় অশান্তি চরমে উঠেছিল। সিনেমা হলে ভাঙচুর থেকে পরিচালককে হেনস্থা, হয়েছিল সবই। এগুলো যে হওয়া উচিত নয় সেটা বোঝাতেই এমন উদ্যোগ। পাশাপাশি আমরা এটাও বলতে চাই বাংলা এ ধরনের সংস্কৃতির বিরোধিতা করে।
এদিকে এবার স্বর্ণজয়ন্তী পূর্ণ করল মহম্মদ আলি পার্ক। সেখানেও তুলে ধরা হল চিতরগড় কেল্লা। এই পুজোর কর্তা অশোক ওঝা জানালেন ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দিতেই নেওয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ। শ্রীভূমির সঙ্গে তাঁদের পুজোর থিম এক হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে অশোক বলেন এটা একেবারেই কাকতালীয় ঘটনা। প্রতিটি পুজো কমিটিই কিছু নির্দিষ্ট চিন্তা ভাবনা থেকে ধারনাকে সামনে রেখে প্যান্ডেল সাজায়। প্রত্যেকেই চায় দর্শকদের মধ্যে শিল্প ও কলার বিষয় আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।