দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঁশ পড়ে গিয়েছে শহরের যত্রতত্র। বড় বড় পুজো কমিটিরা মেতে উঠেছে শারদ উৎসবের উল্লাসে নিজেদের উল্লেখযোগ্যভাবে অন্তর্ভুক্ত করে তোলার আনন্দে। এমন সময়েই চলে এল বাঙালির জীবনের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিল্পী তথা 'মহিষাসুরমর্দিনী'র অমর কন্ঠস্বর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জন্মদিন। আজকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করলেন এক অনন্য ভঙ্গিমায়।
দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী টুইট করলেন, "তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রকে। বাঙালির দুর্গাপুজোর সঙ্গে তাঁর নাম সমার্থক। প্রতি মহালয়ায় রেডিওতে হওয়া 'মহিষাসুরমর্দিনী' অনুষ্ঠানটিকে কেবলই মনে পড়ে"।
1931 সালে প্রথমবার রেডিওতে শোনা যায় নব্বই মিনিটের এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান- 'মহিষাসুরমর্দিনী'। এতদিনে বাদেও, এতকিছুর পরেও, এই অনুষ্ঠান একইরকম জনপ্রিয়। বাঙালি এখন ওই একদিনই তাক থেকে নামিয়ে আনে বাড়ির পুরনো রেডিও। কাশফুল ও পেঁজা তুলোর মতো মেঘকে সাক্ষী রেখে মুগ্ধ হয়ে শোনে- 'আশ্বিনের শারদপ্রাতে...'।
1905 সালে 4 অগস্ট জন্ম হয় এই কিংবদন্তী শিল্পীর। মৃত্যু 1991 সালের 3 নভেম্বর। তখন তাঁর বয়স 86 বছর। মৃত্যুর এত বছর পরেও যে শিল্পীরা বাঙালির জীবনে অমোঘ হয়ে রয়েছে, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের নাম তাঁদের মধ্যে উপরের দিকেই থাকবে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।