মানুষের জীবনভর এমনকি অনেক জাতিস্মরের ক্ষেত্রে পরের জীবনেও ভিড় করে আসে স্মৃতি। তাই ঢাকুরিয়া এলাকার সেলিমপুর পল্লির এ বারের থিম জন্মান্তর।
পূর্ব কলকাতার শ্রীভূমি এবং মধ্য কলকাতার মহম্মদ আলি পার্কের পুজো মণ্ডপ এখন যেন এক টুকরো রাজস্থান। কিন্তু এতকিছু থাক এই চিতরগড়ের কেল্লা কেন? শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের কর্তা তথা তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু জানালেন পদ্মাবত মুক্তির সময় অশান্তি চরমে উঠেছিল। সিনেমা হলে ভাঙচুর থেকে পরিচালককে হেনস্থা, হয়েছিল সবই। এগুলো যে হওয়া উচিত নয় সেটা বোঝাতেই এমণ উদ্যোগ। পাশাপাশি আমরা এটাও বলতে চাই বাংলা এ ধরনের সংস্কৃতির বিরোধিতা করে।
বিনোদন জগতের অন্যতম ব্যস্ত ফোটোগ্রাফারের নাম প্রতাপ ঘোষ ৷ যাঁর হাত ধরে আগামীদিনে একই ফ্রেমে দেখা যাবে কেকে ও শান-কে ৷ তাঁর হাত ধরেই উঠে আসছে অগ্নিমিত্রা পলের টক শো মাই কেবিন ৷ একাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বকে নিজের ক্যামেরায় ফ্রেম বন্দি করেছেন প্রতাপ ৷ সেই প্রতাপের মুখ থেকেই শুনে নেব তাঁর কর্মজীবনের হালহকিকত ৷
গত এক- দেড় দশক ধরে কলকাতার বড় থেকে মাঝারি এমনকী ছোট পুজোতেও থিমের উজ্জ্বল উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। দেশ বিদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি সামাজিক বার্তা তুলে ধরার চেষ্টা হয়ে থাকে। শিশু শ্রম থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধেও সরব হয় দুর্গা পুজো। এবারও সেটাই হচ্ছে। আর এবার দেখা যাচ্ছে কলকাতার নানা প্রান্তে এমন কয়েকটি থিমের পুজো হচ্ছে, যার মূল কথা একটাই – যে কোনও মূল্যে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। এই বার্তাকে সামনে রেখেই হচ্ছে পুজো।
এবার বোসপুকুর শীতলা মন্দিরের থিম ‘উল্কি সাজে ঘোড়ায় চড়ে মা আসছেন গোন্ডদের ঘরে’। গোন্ডরা হলেন ভারতবর্ষের এক উপজাতি।
দশকের পর দশক ধরে পুজোর সময় স্টল করে এসেছে সিপিএম। বছর সাতেক আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-র স্টল করে তৃণমূল। কিন্তু এই তালিকায় বিজেপির অন্তর্ভুক্ত হওয়া কার্যত বেনজির। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও মেনে নিয়েছেন বিষয়টি। তিনি জানিয়েছেন আগে সাংঠনিক শক্তি কম থাকায় তারা স্টল দিতে পারতেন না কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। অনেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। আর তাই স্টল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দুর্গা পুজোর মতো উৎসব বন্ধুত্বের বার্তা দেয়। সল্টলেকের বিজে ব্লকের পুজোয় উপস্থিত হয়ে একথা বলেন তিনি। তিনি জানান, এ বছরের শেষে ভারত এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে বৈঠক হবে। সেখানে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ভারত এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধানরা বৈঠকে বসেছেন। এ প্রসঙ্গে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে আলাপচারিতা খুবই ইতিবাচক বিষয়।
চতুর্থীর দিন থেকেই শুরু হয়েছে পরিষেবা। এর মাধ্যমে একটাই এসি, নন-এসি বাস, ট্রাম এবং লঞ্চে যাতায়াত করা যাবে। আর এই উদ্দেশে চালু হয়েছে অল ডে টিকিট । দাম একশো টাকা। রাত বারোটা থেকে পরদিন রাত বারোটা পর্যন্ত টিকিট বৈধ থাকবে।
রাজ্য সরকারও বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে কলকাতা এবং বাংলাকে বিশেষ জায়গা করে দিতে এই দুর্গা পুজোকেই হাতিয়ার করেছে। মাত্র কয়েকদিন আগে লন্ডনে টেমস নদীর কলকাতার ধারে পুজো নিয়ে হয়ে গিয়েছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। টানা দশদিন ধরে কলকাতা পুজোর সময়ের তোলা নানা ছবি তুলে ধরা হয়েছিল। এবার রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর পুজোর সময় এ রাজ্যে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল। তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে এই উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।
Durga Puja 2018: এই যে সময়টায় আমরা এখন রয়েছি, তাকে প্রশ্ন করাই যেন মূল বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে হাতিবাগানে। কীভাবে আমরা দিনের পর দিন জড়িয়ে যাচ্ছি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার বা মোবাইল ফোন সমৃদ্ধ এই দুনিয়ার জালে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।